ডুবে যাওয়া ফেরি উদ্ধারে যাচ্ছে হামজা ও রুস্তম

পাটুরিয়া ঘাটে ডুবে যাওয়া ফেরি রজনীগন্ধা উদ্ধারে ঘটনাস্থলের উদ্দেশে রওনা হয়েছে উদ্ধারকারী জাহাজ হামজা ও রুস্তম। পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে ঘন কুয়াশার কারণে আটকে থাকা ফেরি রজনীগন্ধা নদীতে ডুবে যায়। এসময় ফেরিতে থাকা যাত্রীদের চিৎকার শোনা যায় বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।
বুধবার (১৭ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে পদ্মায় আস্তে আস্তে ফেরিটি ডুবে যায়।
পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা যায়, ঘন কুয়াশার কারণে মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) দিনগত রাত ২টা থেকে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া, আরিচা-কাজীরহাট ও ধাওয়াপাড়া-নাজিরগঞ্জ নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে। যা বুধবার সকালেও চালু হয়নি। এমন অবস্থায় পাটুরিরা ৫নং ঘাটের কাছাকাছি অবস্থানে থাকা ফেরি পদ্মা নদীতে ডুবে যায়।
এ সময় ফেরিতে ৯টি যানবাহন ছিল বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় সব যানবাহনের সাথে যাত্রীরাও নদীতে ডুবে যায়। তাদের উদ্ধারে নৌপুলিশ, ফায়ার সার্ভিসে সাথে কাজ শুরু করেছে স্থানীয়রা। হতাহতের কোন খবর এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।
জানা যায় ফেরিতে ৭টি ছোট ট্রাক ও ২টি বড় ট্রাক ছিলো। দীর্ঘসময় ফেরি উল্টে গিয়ে এর বেশকিছু অংশ পানির ওপরে ভাসমান ছিল। ফায়ার সার্ভিস সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ৬ জনকে জীবিত উদ্ধার করে। আর চারজন সাঁতরে নদী পার হতে সক্ষম হন। ফেরির সেকেন্ড ড্রাইভার হুমায়ূন কবির (৩৯) নিখোঁজ রয়েছেন। ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধার কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
ফায়ার সার্ভিস সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ৬ জনকে জীবিত উদ্ধার করে। ফেরির সেকেন্ড ড্রাইভার হুমায়ূন কবির (৩৯) নিখোঁজ রয়েছেন। ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধার কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
বুধবার সকালে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ-বিআইডব্লিউটিএ’র ট্রাফিক বিভাগের পরিচালক জয়নাল আবেদিন এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, প্রাথমিক তথ্য মতে, বাল্কহেডের ধাক্কায় ফেরিটি ডুবে যায়। এতে কোনো যাত্রীবাহী পরিবহন ছিল না। তবে ৯টি পণ্যবাহী পরিবহন ফেরির সঙ্গে পানিতে ডুবে যাওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে। ফেরিটি উদ্ধারে দুইটি উদ্ধারকারী জাহাজকে এক সঙ্গে ডাকা হয়েছে।
হামজা দৌলতদিয়া হতে ঘটনাস্থলের দিকে রওনা হয়েছে। একই সঙ্গে মাওয়া ঘাট হতে রুস্তমও যাত্রা শুরু করেছে।