সারাদেশ

যে বিভাগে অবিবাহিত পুরুষ বেশি

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) স্যাম্পল ভাইটাল স্ট্যাটিসটিকস-২০২২ (এসভিআরএস)-এর চূড়ান্ত প্রতিবেদন সম্প্রতি ওয়াবসাইটে প্রকাশ করেছে।

প্রতিবেদনে সংস্থাটি জানিয়েছে, সিলেট বিভাগে অবিবাহিত পুরুষের অনুপাত অন্যান্য বিভাগের তুলনায় সর্বোচ্চ ৫৭ দশমিক ৮৩ শতাংশ। রাজশাহী বিভাগে পুরুষদের মধ্যে অবিবাহিত থাকার অনুপাত সব থেকে কম ৪৩ দশমিক ১ শতাংশ।

 

প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, শহর অঞ্চলের নারী ও পুরুষ উভয় লিঙ্গের ক্ষেত্রেই পল্লী অঞ্চলের নারী ও পুরুষদের বাল্য বয়সেই অর্থাৎ ১৫-১৯ বছর বয়সেই বিবাহিত জীবনে প্রবেশের প্রবণতা উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি।

 

বৈবাহিক অবস্থা এবং এর বৈচিত্র্য জনসংখ্যার গঠন ও কাঠামো তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। যেহেতু প্রথম বিবাহের বয়স এবং বিধবা হওয়া, বিবাহবিচ্ছেদ এবং পৃথক থাকার কারণে নারীর প্রজনন জীবন প্রভাবিত হয়, তাই বিবাহের বয়স, লিঙ্গ ও বিবাহকেন্দ্রিক নানান বৈচিত্র্য নারীর প্রজনন পরিস্থিতি বিশ্লেষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

অন্যান্য জনমিতিক ও আর্থসামাজিক বৈশিষ্ট্যাবলির ওপর বিবাহের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ প্রভাব রয়েছে। এসব বৈশিষ্ট্যের মধ্যে রয়েছে স্থানান্তর, খানাপ্রধানের মর্যাদা, পারিবারিক গঠন ইত্যাদি। সামাজিক ও অর্থনৈতিক বৈশিষ্ট্যাবলি, যেমন- স্কুলে উপস্থিতি এবং কিশোর বয়সের শেষাংশে ও যৌবনের প্রথম ভাগে শ্রমশক্তিতে অংশগ্রহণের মতো বিষয়ের ওপরও এর প্রভাব রয়েছে।

 

বৈবাহিক অবস্থার চিত্র নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করলে দেখা যায়, দেশের ৪৯ দশমিক ৯৪ শতাংশ পুরুষ এবং ৫৩ দশমিক ২৯ শতাংশ নারী বর্তমানে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ আছেন। শহর ও গ্রামাঞ্চল নির্বিশেষে এ চিত্র প্রায় একই রকম। সামগ্রিকভাবে দেখা যায়, কখনই বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হননি এমন পুরুষ জনসংখ্যার অনুপাত ৪৮ দশমিক ৪৯ শতাংশ এবং নারীদের ক্ষেত্রে তা ৩৬ দশমিক ৪২ শতাংশ। ২০২১ সালের পরিসংখ্যানের সঙ্গে এ চিত্রের তেমন পার্থক্য নেই।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button