ঝিনাইদহে ৩টিতে নৌকা ও একটিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী জয়ী

ঝিনাইদহ: ৫ জানুয়ারি রোববার অনুষ্ঠিত দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঝিনাইদহের চারটি আসনের মধ্যে তিনটিতে আওয়ামী লীগ ও একটি আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী বিজয় লাভ করেছেন।
রোববার রাত সাড়ে নয়টার দিকে ঝিনাইদহের জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং অফিসার সফিকুল ইসলাম বেসরকারিভাবে এ ফলাফল ঘোষণা করেন।
ঝিনাইদহ-১ (শৈলকুপা):
ঘোষিত ফলাফল অনুযায়ী, ঝিনাইদহ-১ (শৈলকুপা) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সংসদ সদস্য আব্দুল হাই নৌকা প্রতীক নিয়ে এক লাখ ১১ হাজার ১৫০ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন।
অন্যদিকে, ফুটবল প্রতীক নিয়ে তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী নায়েব আলী জোয়ারদার পেয়েছেন ১৮ হাজার ৬২৮ ভোট।
ঝিনাইদহ-১ আসনে ১৪টি ইউনিয়নে মোট ভোটকেন্দ্র ছিল ১১০টি।
ঝিনাইদহ-২ (ঝিনাইদহ-হরিণাকুণ্ডু):
ঝিনাইদহ-২ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী তাহজীব আলম সিদ্দিকী সমি আনারস প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৬৭ হাজার ৯৮৪ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন।
তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী সংসদ সদস্য সফিকুল ইসলাম অপু পেয়েছেন ৫১ হাজার ২৪৪ ভোট। ঝিনাইদহ ও হরিণাকুণ্ডু উপজেলা নিয়ে গঠিত এ আসনে ১৭৪টি ভোটকেন্দ্র ছিল।
ঝিনাইদহ-৩ (মহেশপুর-কোর্টচাঁদপুর):
ঝিনাইদহ-৩ আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী নবী নেওয়াজ নৌকা প্রতীক নিয়ে ৪৬ হাজার ৭০১ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন।
তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির ব্যারিস্টার কামরুজ্জামান স্বাধীন পেয়েছেন ১৪৭৩ ভোট।
মহেশপুর ও কোটচাঁদপুর উপজেলা নিয়ে গঠিত ঝিনাইদহ-৩ আসনে মোট ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ১৪৭টি। এর মধ্যে সহিংসতার কারণে মহেশপুরের ১৭টি ও কোর্টচাঁদপুরের তিনটি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়।
ঝিনাইদহ-৪ (ঝিনাইদহ-কালিগঞ্জ):
ঝিনাইদহ-৪ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আনোয়ারুল আজিম আনার নৌকা প্রতীক নিয়ে ১ লাখ ৩ হাজার ৪৭৪ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ওয়ার্কার্স পার্টির আলমগীর হোসেন রতন হাতুড়ি প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৫৩৯৮ ভোট।
রোববার ঝিনাইদহ জেলার অন্তত ২৫টি ভোটকেন্দ্রে ককটেল হামলা ও ভোট বিরোধীদের ব্যাপক সহিংসতার মধ্য দিয়ে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়।