জাতীয়জীবনযাপনসর্বশেষ

জাতীয় নাগরিক কমিটির কেন্দ্রীয় কমিটিতে মুক্তাগাছার মিয়াজ মেহরাব তালুকদার

জাতীয় নাগরিক কমিটির কেন্দ্রীয় কমিটিতে মুক্তাগাছার মিয়াজ মেহরাব তালুকদার

মুক্তাগাছা প্রতিনিধি: 

প্রথমে কোটা সংস্কার আন্দোলন, সেই আন্দোলন থেকে সরকার পতনের এক দফা দাবি। দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো গণঅভ্যুত্থানের মুখে সরকার প্রধানের দেশ ছেড়ে পলায়ন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে এই আন্দোলনে অংশ নিয়েছিলেন দেশের ছাত্র-জনতা। এই আন্দোলনে সারা দেশের মত মুক্তাগাছার ছাত্র জনতা যেমন রাজপথে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রেখে শহিদ হয়েছেন তেমনি কেন্দ্রীয় পর্যায়ে অন্যতম সংগঠক হিসেবেও রেখেছেন অবিস্মরণীয় ভুমিকা। মুক্তাগাছার সন্তান শহিদ মোঃ সামিদ হোসেন জীবন দিয়ে এই আন্দোলনকে সাফল্যমন্ডিত করেছেন আর এই আন্দোলনে কেন্দ্রীয় পর্যায়ে অগ্রসৈনিক হিসেবে কাজ করেছেন মিয়াজ মেহরাব তালুকদার।

ময়মনসিংহের মুক্তাগাছার কৃতি সন্তান মিয়াজ মেহরাব তালুকদার জাতীয় নাগরিক কমিটির কেন্দ্রীয় সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি জুলাই বিপ্লবের অন্যতম সংগঠক এবং ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করেছেন। এছাড়াও ২০১৩ সাল থেকে ভারতীয় আধিপত্য বিরোধী লড়াইয়ে সুপরিচিত মুখ। তিনি পিপলস এক্টিভিস্ট কোয়ালিশনের প্রধান সংগঠক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। পিপলস এক্টিভিস্ট কোয়ালিশন একটি এক্টিভিস্ট সংগঠন। এই সংগঠন ফ্যাসিবাদ বিরোধী এবং ভারতীয় আধিপত্য বিরোধী লড়ায়ে বয়ান তৈরি করার পাশাপাশি শেখ হাসিনাকে ফ্যাসিস্ট হিসেবে দেশে-বিদেশে তুলে ধরেছে।
মিয়াজ মেহরাব তালুকদার মুক্তাগাছার দরিচারআনি বাজারের বাসিন্দা এবং তিনি মুক্তাগাছার ঐতিহ্যবাহী রাম কিশোর (আর কে) সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন।
উল্লেখ্য যে, শেখ হাসিনা সরকার পতনের এক মাসের মাথায় নতুন প্লাটফর্ম হিসেবে আত্মপ্রকাশ ঘটেছে আন্দোলনের নেতৃত্ব দেয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তৈরি প্লাটফর্ম জাতীয় নাগরিক কমিটি।
যাত্রা শুরুর পর থেকেই ‘জাতীয় নাগরিক কমিটি’ সারাদেশের জেলা, উপজেলা ও মহানগরে তাদের কার্যক্রম শুরু করেছে। এক্ষেত্রে তাদের প্রথম কাজ হবে সংস্কার।
বাংলাদেশের ক্ষমতাকেন্দ্রীক রাজনীতিতে গত তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে রাষ্ট্র ক্ষমতায় ছিল দেশের প্রধান দুই রাজনৈতিক জোট আওয়ামী লীগ ও বিএনপি।
সে সময় নানা সংকটময় পরিস্থিতিতে বিভিন্ন তৃতীয় রাজনৈতিক জোট গঠনের চেষ্টা করলেও তা সফলতার মূখও দেখেনি।
এ অবস্থায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন থেকে গড়ে ওঠা এই প্লাটফর্মটি আগে সংবিধান পরিবর্তন করে রাজনৈতিক কাঠামোতে পরিবর্তন আনতে চায়। এরপর রাজনৈতিক দল হিসেবে যাত্রা শুরুর দিকে নজর দিতে চায় তারা।
শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর গত ৮অগাস্ট নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত ছয় সদস্যের একটি লিয়াজোঁ কমিটি গঠন করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
এই সংগঠনের অন্যতম সমন্বয়ক ও বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেন, “এই কমিটি সকল অংশীজনের সঙ্গে সংলাপ ও আলোচনা করবে। এই কমিটি সরকারের বিভিন্ন কাজের জবাবদিহিতা নিশ্চিতের ব্যাপারেও কাজ করবে”।
প্রাথমিকভাবে কেন্দ্রীয় আহবায়ক কমিটি সারাদেশের ৬৪ জেলা ও ১২টি মহানগর এবং উপজেলা পর্যায়ে নাগরিক কমিটি গঠন করছে। এরপর জাতীয়ভাবে কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হবে। সেই কাউন্সিল নতুন করে পূর্ণাঙ্গ কমিটি প্রস্তুত করবে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে নাহিদ ইসলাম ও আসিফ মাহমুদ অন্তর্ভূক্ত হওয়ার ঘোষণার পর কয়েকটি ভাগে ভাগ করা হয় তাদের কার্যক্রম।
হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, দুটি সংগঠনের মধ্যে বড় কোন পার্থক্য নেই। আমরা ছাত্র নাগরিকদের নিয়ে কাজ করবো। আর নাগরিক কমিটি বাকিদের নিয়ে কাজ করবে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button