
কঙ্কাল চুর চক্র: এক অন্ধকার দিকের প্রতিবেদন
নিজস্ব প্রতিকেদক:
কঙ্কাল চুর চক্র একটি ভয়াবহ এবং অমানবিক অপরাধের ঘটনা যা সম্প্রতি সমাজে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে। যদিও এ ধরনের অপরাধ মূলত গোপনে ঘটে, তবে এর পেছনে একটি গভীর এবং চমকপ্রদ চক্র কাজ করছে, যা শুধুমাত্র স্থানীয় জনগণ নয়, বরং পুরো দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থা এবং আইনশৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে। এই চক্রের মূল লক্ষ্য মৃতদেহের কঙ্কাল চুরি করে তা বিক্রি করা বা বৈজ্ঞানিক গবেষণার নামে অপ্রত্যাশিত কাজে ব্যবহার করা।
বেশ কিছু দিন আগে কঙ্কাল চোর চক্রের সদস্যরা ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা উপজেলার চেচুয়া এলাকার বিভিন্ন কবরস্থান থেকে লাশ তুলে বিভিন্ন প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে কঙ্কাল সংগ্রহ করে ঢাকার বিভিন্ন স্থানে চড়া দামে নির্ধারিত ক্রেতাদের কাছে বিক্রি করে আসছিল।
পরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে মুক্তাগাছা পৌরসভার গেটে গাড়ির জন্য অপেক্ষমাণ দুজনকে আটক করে ।এ সময় তাদের সঙ্গে একটি ব্যাগ দেখা যায়, তাদের সঙ্গে থাকা ঐ ব্যাগ তল্লাশি করে পলিথিনে মোড়ানো ২টি মাথার খুলিসহ মানবদেহের বিভিন্ন হাড়গোড় জব্দ করে থানার এসআই সাইফুল ইসলাম।
২২ ডিসেম্বর আটকের পর দীর্ঘদিন ধরে কঙ্কাল চুরি এবং বিক্রি করার কাজ করছিল বলে পুলিশের কাছে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন রুবেল ও মনির।
সম্প্রতি আবারও উপজেলার ৯ নং কাশিমপুর ইউনিয়নের সরকার বাড়ি পারিবারিক কবরস্থান থেকে আরো দুইটি কবর খুঁড়ে কঙ্কাল চুরি করে নিয়ে যায় চোরচক্র। জানা যায় একজন নারী ও একজন পুরুষের কঙ্কাল চুরি হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের সাথে কথা বললে তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন এমন ঘৃণিত কাজের তীব্র নিন্দা জানাই এবং এর সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানান ।
এ বিষয়ে মুক্তাগাছা থানার অফিসার ইনচার্জ কামাল হোসেনের সঙ্গে কথা বললে তিনি জানান ইতিপূর্বেই দুইজনকে আটক করেছেন আর সম্প্রতি যে ঘটনাটি ঘটেছে তা নিয়ে তদন্ত চলছে, আমরা বেশ কিছু প্রমাণ হাতে পেয়েছি শীঘ্রই কঙ্কাল চোর চক্রের আসামীদের গ্রেফতার করে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হবে।
কঙ্কাল চুর চক্র একটি ভয়াবহ অপরাধ যা কেবল এক ব্যক্তির ক্ষতি নয়, বরং এটি পুরো সমাজের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। এই চক্র বন্ধ করতে হলে সমাজ, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা এবং সরকারের সম্মিলিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন। মানবাধিকার এবং সমাজের সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত, যাতে ভবিষ্যতে এমন কোনো ঘৃণ্য অপরাধ সংঘটিত না হয়।