
রংপুরের পীরগাছায় হেযবুত তওহীদের সদস্যদের বাড়িঘরে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে উগ্রবাদী একটি গোষ্ঠী। এ ঘটনায় অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। এছাড়াও সংগঠনের দুই সদস্যকে জিম্মি করা হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। তারা হলেন- রংপুরের শাহীন, লালমনিরহাটের সুজন। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত তাদের এখনও উদ্ধার করা হয় নি।
এ ঘটনায় আহতরা হলেন- ডা. আজিজ, সুজন আলী, মনিরুজ্জামান বাবু, মনির হোসেন, আলমগীর হোসেন, ভুট্টু,মুইন উদ্দীন, ইমরান রানা, গফুর আলী, আবিয়াজ রহমান সাগর, এমদাদ প্রমুখ।
জানা যায়, স্থানীয়ভাবে ছড়ানো গুজবের পর সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) উপজেলার ২নং পারুল ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড নাগদহ ছিদাম বাজার সংলগ্ন আব্দুল কুদ্দুস শামীমের বাড়িতে এ হামলার ঘটনা ঘটে। আব্দুল কুদ্দুস শামীম হেযবুত তওহীদের রংপুর বিভাগীয় সভাপতি।
জানা গেছে, হেযবুত তওহীদের সদস্যরা ছিদামহাটে ২৫ ফেব্রুয়ারি একটি কর্মী সম্মেলন আয়োজনের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। এ খবর পেয়ে স্থানীয় ধর্মীয় উগ্রবাদী একটি গোষ্ঠী সম্মেলন বন্ধ করতে তৎপর হয়। রবিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) রাতে স্থানীয় ওয়ার্ড জামায়াতের সভাপতি সম্মেলনস্থলে এসে ডেকোরেটরদের কাজে বাধা দেন এবং হুমকি দিয়ে যান। তারা সমাবেশ কোনোভাবেই করতে দেওয়া হবে না এবং সোমবার সকালে হামলা করা হবে বলেও হুমকি দেন।
সোমবার সকালেই উগ্রবাদী গোষ্ঠীটি দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংগঠিত হয় এবং আব্দুল কুদ্দুস শামীমের বাড়িতে হামলা চালায়। তারা শুধু তার বাড়ি নয়, আশপাশের আরও চারটি বাড়িতে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। হামলায় হেযবুত তওহীদের অন্তত ১৫ জন সদস্য আহত হন।
হামলার খবর পেয়ে স্থানীয় প্রশাসনকে অবহিত করা হলেও তাদের ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে বিলম্ব হয়। অবশেষে দুপুর ১২টার দিকে পুলিশ ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
হেযবুত তওহীদের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, তারা শান্তিপূর্ণভাবে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করছিলেন, কিন্তু একটি উগ্রবাদী গোষ্ঠী পরিকল্পিতভাবে তাদের বসতবাড়িতে এসে তাদের ওপর হামলা চালিয়েছে।
এ ঘটনায় পুরো এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। হেযবুত তওহীদের নেতারা প্রশাসনের দ্রুত ও কার্যকর হস্তক্ষেপের দাবি জানিয়েছেন। অপরাধীদের আইনের আওতায় এনে সর্বচ্চ শাস্তি নিশ্চিতের দাবী জানান তারা। স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যেও আতঙ্ক বিরাজ করছে।