বেড়াতে নিয়ে গিয়ে শিশু ধ*র্ষ*ণের অভি/যোগ, অভি*যু*ক্তের বাড়িতে অ*গ্নিসংযো*গ-ভাং*চু*র

বেড়াতে নিয়ে গিয়ে শিশু ধর্ষণের অভিযোগ, অভিযুক্তের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ-ভাংচুর
ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় ৯ বছরের শিশুকে ধর্ষণের ঘটবায় ধর্ষণকারী দুলাল মিয়া (৩৫) নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।উপজেলার লেংড়ার বাজার এলাকার প্রত্যন্ত গ্রামের তার আত্মীয়ের বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়েচে বলে জানিয়ে পুলিশ। ধর্ষিত শিশুটি স্থানীয় একটি মাদ্রাসার ছাত্রী।
বুধবার, ২ (এপ্রিল) দুপুরে ধর্ষক দুলালকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।এদিকে শিশু ধর্ষণের মত জগণ্য অওরাধে ক্ষুব্ধ হয়ে ধর্ষক দুলালের বসতবাড়ি ভাংচুর করে আগুন দিয়েছে স্থানীয় গ্রামবাসীরা। রাতভর ধর্ষণের ফলে অসুস্থ হয়ে পড়ায় ভিকটিমকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে পুলিশ।
এর আগে মঙ্গলবার (১ এপ্রিল) রাতে ভিকটিমের ভাই বাদী হয়ে মুক্তাগাছা থানায় মামলা দায়ের করে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, উপজেলার মন্নেছ আলীর ছেলে দুলাল মিয়া তার পাশের বাড়ির ৯ বছর বয়সী শিশুটিকে ঈদের দিন বিকেলে বেড়াতে নিয়ে যাবার কথা বলে নিজের শিশু মেয়েকে দিয়ে ডেকে আনে। ফুসলিয়ে নিজের মেয়েসহ ওই শিশুকে নিয়ে ঈদের দিন সোমবার(৩১ মার্চ) বিকালে তার শ্বশুর বাড়িতে যায়। পরে নিজের মেয়েকে শ্বশুর বাড়িতে রেখে ওই শিশুকে অন্যত্র নিয়ে রাতভর ধর্ষণ করে।
পরদিন (মঙ্গলবার) সকালে ওই শিশুকে একটি ভ্যানে করে অসুস্থ অবস্থায় তার বাড়িতে পৌছে দেয়। দুলাল তাকে রাতভর ধর্ষণ করেছে বলে অসুস্থ শিশুটি তার পরিবারকে জানায়। এসময় পরিবারের লোকজন দুলালকে আটক করতে গেলে দুলাল পালিয়ে যায়।
পরে পুলিশ গিয়ে ভিকটিমকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠায়।
বর্তমানে শিশুটি ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের লেবার ওয়ার্ডে ভর্তি আছে। হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. মাইন উদ্দিন জানান, শিশুটির অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে।
এদিকে মঙ্গলবার রাতে মামলা হলে আজ দুপুরে ধর্ষক দুলালকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে উত্তেজিত এলাকাবাসী ধর্ষকের বাড়ি ভাংচুর করে আগুন লাগিয়ে দেয়।
ভিকটিমের বড় বোন জানান, দুলাল ঈদের দিন বিকালে তার নিজের মেয়েকেসহ ভিকটিম শিশুটিকে নিয়ে তার শ্বশুর বাড়িতে নিয়ে যায়। পরে সারা রাত আমরা আমাদের বোনের কোন সন্ধান পাইনি। মঙ্গলবার সকালে দুলাল আমার বোনকে নিয়ে আসে। তখন আমরা দেখি আমাদের বোন খুবই অসুস্থ। পরে সে জানায় দুলাল তাকে ধর্ষণ করে।
এসময় আমার ভাইয়েরা দুলালকে ধরতে গেলে আতিক আর মজিদ দুলালকে সরিয়ে দেয়। বিষয়টি দেখছি বলে মজিদ আমার ভাইদের উল্টো সেখান থেকে সরিয়ে দেয়। পরে পুলিশে খবর দিলে পুলিশ এসে মজিদকে ধরে নিয়ে যায়।
মুক্তাগাছা থানার ওসি কামাল হোসেন জানান, মুক্তাগাছার লেংড়ার বাজার এলাকার প্রত্যন্ত গ্রামের তার আত্মীয়ের বাড়ি থেকে ধর্ষক দুলাল মিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকে ওই বাড়িতে সে আত্মগোপনে ছিল। এদিকে ধর্ষণের ঘটনার খবরপেয়ে তাৎক্ষনিক ঘটনাস্থলে গিয়ে মূল অভিযুক্তকে পালিয়ে যেতে সহযোগিতা করায় মজিদ নামের একজনকে আটক করা হয়।
স্থানীয়দের দাবী–শিশু ধর্ষণের মত এই ঘৃণা অপরাধের সর্বোচ্চ শান্তি না হলে সমাজে এই ধরনের অপরাধ আরো বৃদ্ধি পাবে,তাই তারা গ্রেফতারকৃত আসামী দুলালের সর্বোচ্চ শান্তি দাবী করেন।