ধর্মের নামে কুফরি শাষণ

ধর্মের নামে কুফরি শাষণ
কবি- আলা-উদ্দীন সুজন
তারা আরবের ভাষায় বলে
সংস্কৃতি মানেই কুফর!
জাতীয় সংগীত হারাম,
নাটক মানেই নাস্তিকতা,
পহেলা বৈশাখ, কাফেরদের উৎসব!
তাদের বলি-
স্রষ্টা কি মাটির গন্ধ চিনতেন না ?
তিনি কী বৃক্ষ দেন নাই ?
নবী কি মানুষের ভাষা বুঝতেন না ?
মহা মানবগণ মায়ের মুখ দেখে হেসে উঠতেন না ?
ধর্ম যদি পথ হয়…
সংস্কৃতি সেই পথে হাঁটার ভঙ্গি।
ধর্ম যেই শরীরের হৃদপিণ্ড হয়
সংস্কৃতি তার স্পন্দনের ছন্দ।
কেন ধর্মের নামে কেটেছিল বাউলের বীণার তার ?
ভাঙা হয় ঢোল মন্দির, মাজার আগুনে অন্ধকার।
কেন ছিঁড়ে ফেলা হয় কবিতার পাণ্ডুলিপি ?
কেন নিষিদ্ধ হয়েছিল মাতৃ ভাষা-
যা একদিন ছিনিয়ে দিয়েছে বাঙালির পরিচয় ?
তোমার স্রষ্টা তোমার তৈরী ভয়াবহ হায়না,
তোমাদের প্রজ্ঞা বিশ্বজগতে সার্বজনীন না!
যে স্রষ্টা মানবতাহীন, প্রেমহীন, বিজ্ঞান বুঝে না
নীল আকাশের ওপারে, তাই না ?
সার্বজনীন স্রষ্টা তাঁর সৃষ্টির কিচ্ছু চান না!
পৃথিবীর ফুল, নদী, ভালোবাসা গান কবিতা
দেখে তোমাদের মত আঁতকে উঠেন না।
মনে রেখো বন্ধু
ধর্ম মহৎ হয়,
চিরশান্তি প্রতিষ্ঠাই সেই মহত্ত্বের প্রদীপ
ধর্ম কোন ভাষার শত্রু নয়।
ধর্ম হবে ধ্যান জ্ঞানের শৈল্পিক পবিত্র পথ
সত্য আর ন্যায়ের নিখাদ প্রেমের প্রতীক।
তুমি কী বুঝ ?
ধর্মের নামে প্রতিপক্ষতা,
নিরপেক্ষতায় যুদ্ধ নাই।
এ ধর্ম স্বর্গ দিবে, সেই ধর্মীদের নরকও নাই ?
কেউ বলে না মানুষ মরছে,
মানবতা কী যুদ্ধ চায়!
ধর্ম সংস্কৃতি-বিদ্বেষী হলে
সেটা কোন ধর্ম-ই নয়।
সে এক শাসকের মুখোশ পরা শাসনযন্ত্র!
যা আনন্দ সুখ শান্তিহীন এক কুফরিমন্ত্র।